গিনেস বুকে নাম লেখালেন চট্টগ্রামের ছেলে জোহান

কিছুদিন আগেও বাংলাদেশে স্বীকৃত ফুটবলের কোনো ফ্রি–স্টাইলার ছিল না। গত মে মাসে ফুটবলের ফ্রি–স্টাইলার হিসেবে গিনেস বুকে নাম তুলেছিলেন চট্টগ্রামের ছেলে আশরাফুল ইসলাম জোহান। তারও আগে ফুটবলের উপর নিয়ন্ত্রণ রেখে বিভিন্ন কসরতের মাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসেন জোহান। এক কাঁধে বল নিয়ে বেধে দেওয়া ১ মিনিট সময়ে সর্বোচ্চ ১০৪ বার হেড করে গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছিলেন জোহান। গিনেস কর্তৃপক্ষ থেকে বিশ্ব রেকর্ডসেই স্বীকৃতিস্বরূপ জোহানকে দেওয়া হয়েছে সার্টিফিকেট। ২০১৮ সালের ২২ মে জোহান এই রেকর্ড গড়েছিলেন। এরপর অবশ্য সেটি গিয়েছে ভারতের বেঙ্গালুরুর ছেলে সতীশের দখলে। ৫ জুন জোহানের চেয়ে একবার বেশি হেড করে এই বিশ্বরেকর্ড নিজের করে নেন সতীশ। জোহান জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন পর হলেও অফিসিয়ালি গিনেস কর্তৃপক্ষ থেকে সার্টিফিকেট পেয়ে ভালো লাগছে। আমি গত ফেব্রুয়ারিতে আর্চিস প্যাটেলের রেকর্ডটি ভেঙে দিয়েছিলাম। এরপর যাবতীয় কাগজপত্র, অনলাইন আবেদন সাবমিটের প্রক্রিয়া শেষে গিনেস কর্তৃপক্ষ আমাকে একটি ইমেইল করেছিল। তারা এক মিনিটের ভিডিও অ্যাভিডেন্স, টাইমকিপার, বিভিন্ন জনের বিবৃতি পাঠাতে বলেন। অবশেষে ২২ মে আমি আবারো নতুন বিশ্ব রেকর্ড করি। সেই স্বীকৃতিস্বরূপ আমাকে গিনেস কর্তৃপক্ষ একটি সার্টিফিকেট পাঠিয়েছেন। জোহান আরও জানান, সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই এমন দারুণ একটি সাফল্য পাইয়ে দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ জানাই আমার বাবা–মাকে। আমি জানি এটা এমন কিছুই না। কিন্তু জীবনকে এগিয়ে নেওয়ার মতো এমন শুরুটা অনেক কিছু।

চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ থেকে ১৩তম গ্রেডের ছাত্র জোহান নগরীর বহদ্দারহাট চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।

বাবা যমুনা ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শহিদুল ইসলাম। লেখাপড়ার পাশাপাশি ভিন্নধর্মী ফুটবলের এই বিনোদন দিয়ে জোহান পরিচিত পেয়েছেন দেশের এক নম্বর ফ্রি–স্টাইলার হিসেবে। সমপ্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার দেয়া ফ্রি–স্টাইল ফুটবলের কয়েকটি ভিডিও আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। উল্লেখ্য, মুঠোফোন কোম্পানি এয়ারটেল পরিচালিত রাইজিং স্টার ২০১৪ তে নির্বাচিত ১২০ জন খেলোয়াড়ের একজন ছিলেন জোহান। সেবার গিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হোম গ্রাউন্ডে, সেখানে খেলারও সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার নটর ডেম কলেজে অনুষ্ঠিত ফ্রি–স্টাইল ফুটবল প্রতিযোগিতায় জোহান প্রথম হয়েছিলেন।