ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের দেশে ফেরত পাঠানোর দাবিতে হওয়া গণআন্দোলনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সাতজন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় এক হাজারের বেশি আন্দোলনকারীকে আহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল (শুক্রবার) ইসরায়েলি বাহিনী লাইভ অ্যামিউনিশন ছেড়ে অন্তত ২৯৩ জন মানুষকে আহত করেছে। আহতরা ইসরায়েলি সীমান্তবর্তী গাজা স্ট্রিপের নিকটে আন্দোলনরত ছিলেন। তাদের উপর টিয়ার গ্যাস ছোড়ে ইসরায়েলি সৈন্যরা।
নিহতরা হলেন ওসামা কিউদেই(৩৮), মাজদি রামাদান শাবাত(১৬), হোসেন মাদি(১৬), ইব্রাহিম আল-ওর(২০), সিদকি আবু ওতেওয়ি(৩৩), মোহাম্মেদ হাজ সালেহ(৩৩), আলা আল জামালি(১৭)।
এছাড়াও থায়ের রাবা নামক একজন আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় আছেন।
১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে অসংখ্য ফিলিস্তিনি শরণার্থী ইসরায়েলে আটকা পড়ে। তাদেরকে ফিরিয়ে নেয়ার দাবিতেই ফিলিস্তিনিরা আন্দোলনটি শুরু করে।
দখলকৃত গাজার ২০ লাখ অধিবাসীর ৭০ শতাংশ ফিলিস্তিনিই আটকে পড়ে আছে ইসরায়েলের দখলকৃত গাজা অংশে। যেটি আমেরিকার ডেট্রয়টের সমান। ৩৬০ বর্গকিলোমিটার আকৃতির এই এলাকাটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় খোলা আকাশের নিচে থাকা কারাগার বলে পরিচিত।
উল্লেখ্য এর আগে ৩০ মার্চ আন্দোলনের শুরুর দিনও ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি, টিয়ার গ্যাস, লাইভ অ্যামিউনিশন ও রাবার কোটেড স্টিল বুলেটের আঘাতে অন্তত ২৯ জন নিহত ও ১৬’শর ও বেশি মানুষ আহত হয়েছিল।