গণমানুষের সেবা করার জন্য আ.লীগের মনোনয়ন চান এম এ মোতালেব

পুরো দেশের জামায়াত-শিবিরের আখড়া হিসেবে খ্যাত সাতকানিয়া উপজেলা। এ উপজেলায় স্বাধীনতাবিরোধীদের এমন দুর্গে আওয়ামী পরিবারকে রক্ষা করে চলেছেন একজন সৎ ও নির্ভিক সমাজকর্মী।

তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে সাতকানিয়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ২০১৩ সাল থেকে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এবং ২০১৪ সাল থেকে সাতকানিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

ব্যক্তি জীবনে তিনি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হলেও তৃণমূলের কাছে তিনি অভিভাবকের আসনেই রয়েছেন। বলছিলাম বনফুল গ্রুপের কর্ণধার এমএ মোতালেব সিআইপির কথা।

একদিকে জামায়াত-শিবিরের দুর্গ, তার উপর রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের সাংসদের সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব। এতকিছুর পরও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এ আওয়ামী লীগ নেতা।

স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ থেকে (নৌকায়) সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন এমপি নদভী। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও সভা-সমাবেশে সাংসদ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের একসাথে দেখা মিলে না। শুধু তা নয়, জামায়াত সংশ্লিষ্টার অভিযোগ এনে এমপির স্বেচ্ছাচারিতার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেছে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা।

এমন দ্বন্দ্বময় পরিস্থিতিতে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় সমাজসেবায় জনগণ ও তৃণমূলের জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন এমএ মোতালেব সিআইপি। তিনি জনগণের কাছে গিয়ে সরকারের উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন, বিভিন্ন উৎসবে অসহায় মানুষের সহায়তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুদান, মসজিদ-মাদ্রাসায় অনুদানসহ দিয়ে যাচ্ছেন সরকারের উন্নয়নের বার্তা।

শুধু সমাজসেবায় নয়, তিনি অভিভাবকের আসনে রয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের। সম্প্রতি ১৬০টি পূজা মণ্ডপে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন তিনি।

পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি বলেছেন, আমি যদি মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারি, তাহলে সাতকানিয়া-লোহাগাড়াকে একটি শিল্পনগরী হিসেবে গড়ে তুলবো। কারণ সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সংসদীয় আসনের পাশেই মহেশখালীর মাতারবাড়িতে দেশের বৃহৎ কয়লা বিদ্যুত ও এলএনজি টার্মিনাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই গ্যাস ও বিদ্যুৎকে কাজে লাগিয়ে এই এলাকার টিলা, পরিত্যক্ত ও অনাবাদি জায়গায় শিল্প-কারখানা স্থাপন করে এলাকার চেহারা বদলে দিতে চাই।

সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার ব্যবসায়ী উদ্যোক্তারা দেশের বিভিন্নস্থানে শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা করছেন। সুযোগ পেলে তারা নিজের এলাকাতে কারখানা গড়ে তুলবেন।

এছাড়াও বিসিক শিল্প গড়ে তোলা হলে ঘর থেকেই এলাকার মানুষ কারখানায় গিয়ে কাজ করতে পারবে। পরিদর্শনকালে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি এডভোকেট আহমেদ সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী, সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র মো. জোবায়ের, এডভোকেট প্রদীপ কুমার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহজাহানসহ অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

ব্যবসায়ী হয়েও তিনি কিভাবে রাজনীতিতে সফলভাবে সক্রিয় আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে এমএ মোতালেব সিভয়েসকে বলেন, আমি ব্যবসা করি সচ্ছ্বল থাকার জন্য। নিজেই ক্ষুধার্ত হয়ে তো, আর অন্যের ক্ষুধা মিটাতে পারবো না। ব্যবসাকে আমি একটা সিস্টেমের মধ্যে রেখেছি।

রাজনীতি আর মানুষের সেবার কাজটা আমি নিজেই করি। আমরা সাতকানিয়ায় যারা আওয়মী লীগ করে আসছি, তারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। সারাদেশের কোনো উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন কষ্ট করতে হয়নি। তাদেরকে নিয়ে আমি রাজনীতি করছি। তাদের জন্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে মনোনয়ন চাইবো। যাতে দ্বিতীয়বার সাতকানিয়ায় স্বাধীনতার চর্চা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চর্চা করতে গিয়ে যাতে নির্যাতিত হতে না হয়।