ভবিষ্যতে কোনও দল অজুহাত হিসাবে নিরাপত্তাকে ইস্যু করবে না। এই বছর বা পরের বছর নিয়মিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরে আসবে পাকিস্তানে। ঘরের মাঠে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করে এমনটাই আশা করেছেন দলের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করাচিতে সফলভাবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করার পর পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদিও আহ্বান জানান ধারণা পরিবর্তন করে পাকিস্তানে এসে খেলতে।
৩-০ তে সিরিজ জয়ের পর অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। কিন্তু ভেটো এসেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে। তারা দাবি করেছে, এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ খর্ব শক্তির দল।
এ নিয়ে সরফরাজ বলেন, আমি মানুষকে বলতে শুনেছি যে এই সিরিজে দ্বিতীয় শক্তির একটি দল পাঠিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ড। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) কাউকে দুর্বল দল পাঠাতে বলেনি, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাকিস্তান সফরের জন্য বোর্ড অনুরোধ করেছিল।
তিনি বলেন, তাদের সর্বশেষ সিরিজে খেলা আট জন ক্রিকেটারই এই দলে ছিল। নিঃসন্দেহে তারা ভালো খেলেছে। দুঃসময়ে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাদের অবশ্যই ধন্যবাদ জানাই।
এমন সফল একটি সিরিজ আয়োজন করার পর স্বস্তি ফিরেছে পিসিবি, খেলোয়াড় ও ক্রিকেট সমর্থকদের কাছে।
পিসিবি প্রধান নাজাম শেঠি বলেন, আমি মনে করি না দলগুলোকে এখন আর পাকিস্তানে আসতে কোন কারণ দেখাতে হবে। এই সিরিজের প্রত্যেকটি ম্যাচে ব্যাপক সাড়া ছিল দর্শকদের। করাচির মানুষরা প্রমাণ করেছে যে পাকিস্তানে ক্রিকেটের কেমন জনপ্রিয়তা। ক্রিকেট খেলতে পারে তাই দলগুলোর কাছে আমার অনুরোধ পাকিস্তানে খেলতে আসতে আর কোনও অজুহাত খুঁজবে না। পাকিস্তানে আইসিসি’র বিশ্ব একাদশের হয়ে একটি দল এসেছিল, আমরা পিএসএল ফাইনাল খেলিয়েছি এখানে।”
২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দলেও ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দেশের মাটিতে সিরিজ আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা পায় পাকিস্তান।