কাল পবিত্র হজ মিনায় সমবেত ৩০ লাখ মুসল্লি

সৌদি আরবে কাল পবিত্র হজ। ইতিমধ্যে হজ পালনের উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ৩০ লাখ মুসল্লি দু–টুকরো সাদা ইহরাম কাপড়ে শরীর ঢেকে সমবেত হয়েছেন মিনার তাঁবুর শহরে।
শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল থেকে মুসল্লিরা মক্কা নগরী থেকে ৮ কিলোমিটার দূরের তাঁবুর শহর মিনার উদ্দেশে পায়ে হেঁটে, বাসে করে রওয়ানা করার মধ্য দিয়ে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন। আজ রবিবার মিনায় অবস্থান করে পরের দিন সোমবার সূর্য উদয় হওয়ার সাথে সাথে আরাফাতের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। আরাফাত ময়দানে জোহর ও আসর নামাজ একসাথে আদায় করে সূর্য অস্তমিত হওয়ার সাথে সাথে মুজদালিফার উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন এবং অবস্থান করবেন। পথিমধ্যে শয়তানকে নিক্ষেপ করার জন্য পাথর সংগ্রহ করবেন।
‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে সোমবার মক্কার আরাফাত ময়দানে পালিত পবিত্র হজ। এ বছর বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১২২ টি দেশের মুসলমান হজে অংশ নিচ্ছেন। বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন হজ পালনের কথা থাকলেও নানা জটিলতায় ৬০৬ জন এবার আসতে পারেননি।
এরই মধ্যেই আসন্ন হজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সৌদি প্রশাসন। এবারের হজে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিতে ১ লাখ ২৮ হাজার নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ দিয়েছে সৌদি সরকার। তার মধ্যে ২৮ হাজার নারী নিরাপত্তা কর্মীও রয়েছেন। এরা মক্কা মিনা মুজদালিফা ও আরাফাত ময়দানে হাজিদের সব ধরনের সহযোগিতা ও নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে সৌদি প্রশাসন।
নারী নিরাপত্তাকর্মীরা হাজীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি পবিত্র কোরআন বিতরণ ও হাজীদের হজের নিয়ম–কানুন শিখিয়ে দেবেন। হজ চলাকালে হাজীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মেডিকেল টিম কাজ করছে। এর মধ্যে মিনায় ১৮৫টি, আরাফাতে ২৫০টি ও মুজদালিফায় ২০০টি। পাশাপাশি হজযাত্রীদের দ্রুত সেবা দিতে কাজ করবে ১৩৩টি এম্বুলেন্স। তাতে রয়েছেন ৭৮ জন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ। আছেন ২৫০০ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও টেকনিশিয়ান। মাঠপর্যায়ে জরুরি সেবা দিতে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ২৫টি টিমকে। সুসজ্জিত চারটি এয়ারএম্বুলেন্সও নামানো হয়েছে।
হজের এই বিশাল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রশাসনিক টিম সৌদি আরব পৌঁছেছে অনেক আগেই। সেই সাথে চিকিৎসার জন্য এসেছে চিকিৎসক দল। এবার সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে হজ সম্পন্ন হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।