এপ্রিল ও মে মাসে হতে পারে ৬টি নিম্নচাপ, যার মধ্যে ২টি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে

এপ্রিল থেকে মে মাস পর্যন্ত ৬টি নিম্নচাপ, যার মধ্যে ২টি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, এপ্রিল মাসের ২০ তারিখের পরে একটা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দেখা দিতে পারে। আরেকটি কবে হবে সেটা ঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। এছাড়া এ মাসে প্রায়ই কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, চৈত্রের শেষের এই সময়টা এমনই। আগামী ১৪ এপ্রিল নববর্ষ পর্যন্ত থাকবে ঝড়-বৃষ্টির এই প্রবণতা। তবে গত কয়েকদিন ধরে যে তীব্রতা-এটা বুধবার (১৭ এপ্রিল) পর্যন্ত থাকতে পারে। এটা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব।
এদিকে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ও কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হেনেছে। এসময় বাতাসের তীব্রতা ছিল ৮৫ কিলোমিটার। হঠাৎ ঝড়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। আবহাওয়াবীদ বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে সন্ধ্যা ৬টায় বৃষ্টি শুরু হয়।

দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য সতর্ক বার্তায় বলা হয়- ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর নৌ- হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি. মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা বিভাগ ছাড়া সব বিভাগেই বৃষ্টি হয়েছে।