এতকিছুর পরেও সংসার- স্বামী- সন্তানকে সময় দেন সিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম

স্বপ্নজয়ী নারী চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম জানিয়েছেন তার জীবনের স্বপ্নপূরণের গল্প। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আলাপচারিতায় জানান পুলিশই হতে চেয়েছিলেন তিনি।

পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তা আমেনা বেগম বলেন, ‘পুলিশই হতে চেয়েছিলাম। হয়েছি। একাগ্রতা নিয়ে নিজের কাজ করি। মানুষকে সেবা দিই।’

‘কর্মক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করি। এ পেশা চ্যালেঞ্জের। তবে কাজের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হয়।’ যোগ করেন আমেনা বেগম।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন শেষে আমেনা বেগম ১৯৯৯ সালে ১৮তম বিসিএসের মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার পদে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিসে যোগদান করেন।

২০ বছর চাকরি জীবনে কাজ করেছেন দেশের বিভিন্ন জায়গায়। পুলিশ সুপার পদে দায়িত্ব পালন করেছেন রাঙামাটি ও নরসিংদী জেলায়। সিএমপির উপ-কমিশনার (উত্তর) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

কর্মজীবনে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে ২০১৫ সালে পেয়েছেন পুলিশের সর্বোচ্চ পদক ‘বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম)-সেবা’। এ বছর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন ‘আইজি গুড সার্ভিস মেডেল’।

দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও তুলে ধরেন বাংলাদেশকে। ২০০৯ সালে নির্বাচিত হন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ওমেন পুলিশ’র এশিয়া রিজিয়ন কো-অর্ডিনেটর। দুই মেয়াদে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন ওই দায়িত্বে।

আন্তর্জাতিক নারী পুলিশের বার্ষিক সম্মেলন এশিয়ান ওমেন পুলিশ কনফারেন্সে কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৮ সালে দুই বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশ ওমেন নেটওয়ার্কের সভাপতি। পূর্ব তিমুরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করেছেন আমেনা বেগম।

এতকিছুর পরেও নিজে সামলান তার সংসার। ব্যবসায়ী স্বামী ও এক কন্যা সন্তান নিয়ে তার পরিবার। সময় দেন পরিবারকে।

নারীরা পুলিশে যোগদান করতে পারার পেছনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা ছিল উল্লেখ করে আমেনা বেগম বলেন, ‘১৯৮৮ সালের পর ৮ম বিসিএস থেকে ১৭তম বিসিএস পর্যন্ত দশ বছর নারীরা পুলিশে যোগদান করতে পারেনি। নিয়োগ বন্ধ ছিল। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় নারীদের সেই সুযোগ করে দিয়েছেন। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’