ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টটেনহামের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন রাশফোর্ড।
এই ম্যাচে ওলে গুনার সুলশারের জন্য একটা পরীক্ষা ছিল। সেটা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ৭০ বছর আগের রেকর্ডটা নিজের করে নেওয়ার। সুলশার পরীক্ষায় উতরে গেছেন ভালোভাবেই। টটেনহামের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় দিয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে প্রথম ছয় ম্যাচ টানা জয়ের রেকর্ডটি এখন তাঁর। ৭০ বছর আগে টানা প্রথম পাঁচ ম্যাচ জয়ের কীর্তি গড়েছিলেন ম্যাট বাসবি। এফএ কাপে রিডংয়ের বিপক্ষে জয় দিয়ে সে রেকর্ড ছুঁয়েছিলেন সুলশার। রোববার রাতে টটেনহামকে হারিয়ে সুলশার টপকে গেলেন বাসবিকে। অথচ এই কিছুদিন আগেও ধুঁকছিল ইংলিশ ক্লাবটি। হোসে মরিনহোর বিদায়ের পর দায়িত্ব নেওয়া নরওয়ের এই মানুষটি এখন নিজের পদটি পাকা করার দাবি করতেই পারেন। ম্যাচ শেষে ম্যানইউ গোলরক্ষক ডি গিয়া তো বলেই দিলেন, এটাই নাকি সত্যিকারের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড!
ওয়েম্বলিতে ম্যাচটি জমে উঠেছিল আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের বারুদে এক ম্যাচে। বল দখলের লড়াইয়ে টটেনহাম এগিয়ে থাকলেও গোলমুখ খুলতে পারেনি পচেত্তিনির শিষ্যরা। গোলমুখে টটেনহামের নেওয়া ২১টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ১১টি। অন্যদিকে ম্যানইউ গোল পায় খেলার প্রথমার্ধেই। ম্যাচের ৪৪তম মিনিটে টটেনহামের দুর্বল রক্ষণের সুযোগ নিয়ে গোল করেন রাশফোর্ড। পগবার বাড়ানো বল থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করেন রাশফোর্ড। যদিও খেলা শুরুর দশ মিনিটের মধ্যেই গোলের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে দু দলের খেলোয়াড়েরাই।
গোল ব্যবধানে ম্যানইউ এগিয়ে যাওয়ার আগে ৩১তম মিনিটে টটেনহামের হ্যারি কেনও জাল খুঁজে পান। কেনের গোল অফসাইডের ফাঁদে পড়ে বাতিল হলে গোলবঞ্চিত হয় টটেনহাম।
দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যানইউর রক্ষণকে ব্যস্ত রাখে টটেনহাম। কিন্তু গোলমুখ কোনোভাবেই খুলতে পারেনি টটেনহামের খেলোয়াড়েরা। শেষ মুহূর্তে কেনের শট আটকে দেন ম্যানইউ গোলরক্ষক। এর মিনিট দু-এক আগে হ্যারি কেন ডি বক্সে লরেন্তের বাড়ানো বলে পা লাগাতে ব্যর্থ হলে সুযোগ হাতছাড়া হয় টটেনহামের।