বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) আগামী আসরে মোহাম্মদ আশরাফুলের খেলার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। চিটাগং ভাইকিংস কিনে নিয়েছে বাংলাদেশের একসময়ের ‘লিটল মাস্টার’কে।ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে দীর্ঘ ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে অবশেষে ক্রিকেটে ফিরছেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
২০১৩ সালে বিপিএলের দ্বিতীয় আয়োজনে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল বিলুপ্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি ঢাকা গ্লাটিয়েটরসের খেলোয়াড় এশের বিরুদ্ধে। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়েছিল সেই ফ্র্যাঞ্চাইজিও। এক পর্যায়ে ধরা পড়ে গিয়ে সব অপরাধ স্বীকার করে নেন আশরাফুল। এরপর তাকে পাঁচ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। বহিষ্কার করা হয় ঢাকা গ্লাটিয়েটরসকেও। ৩৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার এখন আবারও নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে এল চিটাগং ভাইকিংস। আশরাফুলকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছিল। দেশি খেলোয়াড়দের প্রথম দুই সেট শেষ হয়ে গেলেও কেউ আশরাফুলের নাম বলেনি। অবশেষে তৃতীয় সেটে তাকে দলে ভেড়ায় চিটাগং ভাইকিংস। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা খেলোয়াড়দের মূল্য ১৮ লাখ। যে বিপিএলে ফিক্সিং করে ক্যারিয়ারটা শেষ করে দিয়েছেন সেই বিপিএলকেই জাতীয় দলে ফেরার মঞ্চ হিসেবে নিয়েছেন আশরাফুল।
দল পেয়ে আশরাফুল বললেন নিজের চাওয়া-পাওয়া এবং আবেগ-অনুভূতি নিয়ে। শুরুতেই জানান, ‘এই দিনটার অপেক্ষাতেই ছিলাম। খুব খুশি আমি।’ সিলেটের সঙ্গেই নাকি কথা হচ্ছিল আশরাফুলের। তবে ড্রাফট যেহেতু একটা ভাগ্যের বিষয়। লটারিতে যার নাম আগে আসে, যে কল করার সুযোগ আগে পায়, তারাই খেলোয়াড় পছন্দমতো বাছাই করার সুযোগ পায়। সে কারণে আশরাফুলকে কিনে নিয়েছে চট্টগ্রাম। আশরাফুল বলেন, ‘আমি অপেক্ষায় ছিলাম কখন খবর আসে, আমাকে কোন দল নেয়। যেহেতু প্লেয়ার ড্রাফটে ইচ্ছে করলেই কাউকে নেয়া যায় না, লটারিতে কার সিরিয়াল বা কার কল করার সুযোগ আগে আসে তার ওপর নির্ভর করে অনেক কিছু। তারপরও সিলেটের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তারা আমার ব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাকে নিয়েছে চট্টগ্রাম।’ আশরাফুল আরও বলেন, ‘আমি খুব খুশি একটা বিশেষ কারণে। আমি ইচ্ছে করেই এমন দলে খেলতে চেয়েছি, যে দলে বিদেশি ও স্থানীয় তারকা তুলনামূলক কম। রংপুর, ঢাকা, কুমিল্লা ও খুলনার চেয়ে চট্টগ্রামে নামি তারকার সংখ্যা কম। কাজেই আমার বিশ্বাস, আমি খেলার সুযোগ পাবো এবং নিজেকে মেলে ধরার জায়গাও বেশি থাকবে।’ কেন চট্টগ্রামে খেলার সম্ভাবনা বেশি? সেটাও জানান আশরাফুল। তিনি বলেন, ‘ওখানে মুশফিক আছে। সে খুব আন্তরিক। এর বাইরে নান্নু ভাই আছেন। তিনি প্রধান টেকনিক্যাল ডিরেক্টর। তিনি আমার সাবেক কোচও। এছাড়া নোবেল ভাই আছেন।