আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৪টি উপজেলার ৩৬ লাখ ২২ হাজার ৮৬৩ জন ভোটার নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
মার্চের শুরুতে প্রথম দফা নির্বাচনে চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে; এমনটাই জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলার মধ্যে কর্ণফুলী উপজেলার মেয়াদ শেষ না হওয়ায় সেটিতে ভোট হবে না।
জেলা নির্বাচন অফিস ইতোমধ্যে ভোটকেন্দ্র ও কক্ষের প্রাথমিক তালিকা প্রণয়ন করেছে। প্রাথমিক ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজও শেষ। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি শেষে প্রশিক্ষণের দিন তারিখও নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রাথমিক তালিকা অনুযায়ী, ১৪টি উপজেলায় ১৮ লাখ ৭৫ হাজার ৮১ জন পুরুষ ও ১৭ লাখ ৪৭ হাজার ৭৮২ জন নারী ভোটার রয়েছে।
এসব উপজেলায় ভোটকেন্দ্র (সম্ভাব্য) রয়েছে ১ হাজার ২৯৫টি ও ভোটকক্ষ রয়েছে ৯ হাজার ৫১৮টি।
১৪টি উপজেলায় (অতিরিক্ত ৫ শতাংশসহ) ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন ৩১ হাজার ৩৪১ জন কর্মকর্তা। এর মধ্যে প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ১১ হাজার ৩৫২ ও পোলিং কর্মকর্তা ১৯ হাজার ৯৮৭ জন।
জেলা নির্বাচন অফিসের উচ্চমান সহকারী আবুল খায়ের বাংলানিউজকে বলেন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোর নির্বাচন পাঁচ ধাপে সম্পন্ন হয়েছিল। এবারও সেভাবে হবে।’
তিনি বলেন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও প্রাথমিক ভোটার তালিকা প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে। প্রণয়ন শেষে ভোটকেন্দ্র ও কক্ষের তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্দেশনা না দিলেও ভোটগ্রহণের কাজগুলো ধীরে ধীরে সম্পন্ন করা হচ্ছে।
এদিকে বিভিন্ন উপজেলায় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মধ্যেও ভোটের আমেজ দেখা গিয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপি চুপ থাকলেও আওয়ামী লীগে বইছে নির্বাচনী হাওয়া।
পোস্টার-ব্যানার ছাপিয়ে কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন অনেকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে প্রচারণা।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে উপজেলা রয়েছে ১৫টি। সেগুলো হচ্ছে- মিরসরাই, ফটিকছড়ি, সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনীয়া, বোয়ালখালী, পটিয়া, কর্ণফুলী, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী।