উপকারী খাবার দই

আগেকার দিনে খাবারের সময় দই খাওয়া হত। মুরব্বিরা এখনো দই খেতে চান ও সবাইকে দই খেতে বলেন। দেশের অনেক গ্রামে গন্জে এখনো নিয়মিত দই খাওয়া হয়। বিয়ে বাড়ীতে ও সামাজিক অনুষ্ঠানে দই দেওয়া হয়। গবেষণায় দেখা গেছে আগেকার মানুষের দই ও অনেক খাদ্যাভ্যাস সঠিক ও স্বাস্থ্য সম্মত ছিল।
দই একই সঙ্গে সাশ্রয়ী এবং পুষ্টিকর খাবার। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
দুগ্ধজাত খাবার হিসেবে এতে রয়েছে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি-২, বি ১২, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম। দই স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি ত্বক ভালো রাখতেও সাহায্য করে।
স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের কল্যাণে প্রতিদিন দই খাওয়ার উপকারিতা জানা যায় , যেমন :
১. দই প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার যা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। দইয়ের উপকারী ব্যাক্টেরিয়া হজমে সাহায্য করে এবং পেটের সমস্যা দূর করে।
২. দইয়ে থাকা কার্যকর ব্যাক্টেরিয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও শরীর সুস্থ রাখে। দই ভিটামিন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং এতে আছে ল্যাকটোব্যাসিলাস যা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
৩. দই ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করে এবং শুষ্ক ত্বক প্রাকৃতিকভাবে সুস্থ রাখে। এর ল্যাক্টিক অ্যাসিড ত্বক এক্সফলিয়েট করে এবং মৃত কোষ দূর করে। দই ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ ধীর করতে পারে। রূপচর্চায় যে কোনো মুখের প্যাক তৈরি করতে দই ব্যবহার করতে পারেন।
৪. আমেরিকার হার্ট অ্যাসসিয়েশনের গবেষকদের মতে, টক দই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষণায় দেখা যায়, যারা কম চর্বি যুক্ত দই খান তাদের উচ্চ রক্ত চাপ তুলনামূলক কম হয়।
৫. প্রতিদিন দই খাওয়া হলে এর ক্যালশিয়াম হাড় গঠনে সহায়তা করে। তিন চার কাপ দইয়ে ২৭৫ মি.গ্রা. ক্যালশিয়াম থাকে যা হাড়ের স্বাস্থ্যভালো রাখতে পারে।
৬. অনেকের দেহের সংবেদনশীল অঙ্গে ছত্রাক সংক্রমণ হয়। আর এ ছত্রাকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়তা করে দই।
৭. নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় দই খেলে দেহের ওজন কমে। এতে জানা গেছে, খাবারের সঙ্গে দই খাওয়া হলে তা দেহের চর্বি ব্যবহার করতে উৎসাহিত করে। এতে দেহের চর্বি কমে এবং সার্বিকভাবে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
আর এই সেটা যদি হয় চিনি ছাড়া মানে Zero Sugar Yogurt হলে তো আরকটু মাত্রায় ভালো। যাদের চিনিতে সমস্যা বিশেষ করে ডায়াবেটিকে ভুগছে তাদের জন্য এই দই বেশ উপকারী।