উদ্বোধনের অপেক্ষায় বিশ্বমানের ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল

প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির অপেক্ষায় চট্টগ্রামের ফয়েজ লেক এলাকায় ৮’শ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আন্তর্জাতিক মানের জেনারেল ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সম্মতি পেলে আগামী মাসে ৩ শত ৭৫ শয্যার এ হাসপাতালের উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে ইমপেরিয়াল হাসপাতালে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ফয়’স লেক সংলগ্ন জাকির হোসেন সড়কের পাশে সাত একর জায়গার উপর নির্মিত হয়েছে ৩ শত ৭৫ শয্যা বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক মানের জেনারেল ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল।

চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্য সেবার অপ্রতুলতার, বহু সংখ্যক রোগী বিদেশে যেতে বাধ্য হচ্ছে। পরিবারকে আর্থিক, শারীরিক এবং মানসিক চাপের মুখে পড়তে হয়। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য ” চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ট্রাস্ট” স্থাপনের উদ্যোগ নেন চট্টগ্রামের কতিপয় সমাজ সেবক ও উদ্যোক্তা।

হাসপাতাল সূত্র জানা যায়, ৭ একর জমির ওপর ৩ শত ৭৫ শয্যা, নার্স এবং টেকনিশিয়ান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং যাবতীয় ৫ টি ভবন নিয়ে মোট ৬ লক্ষ ৬০ হাজার বর্গফুট জায়গায় জুড়ে গড়ে ওঠেছে বেসরকারি এ হাসপাতাল । যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি বিখ্যাত স্থাপত্য সংস্থা এই হাসপাতালের প্রণয়ন করেন। ইউরোপিয়ান কনস্যালটেন্ট গ্রুপ নকশানুযায়ী হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু করে ২০১৩ সালে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইউরোপিয়ান কনস্যালটেন্ট গ্রুপ প্রকৌশল, তথ্য প্রযুক্তি এবং বায়োমেডিকেল বিষয়ে কারিগরি সহযোগিতা করেন।

ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের বোর্ড চেয়ারম্যান ও চিটাগাং আই ইনফারমারি এন্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্স (সিইআইটিসি) ম্যানেজিং ট্রাস্ট্রি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, উন্নতমানের সার্বক্ষণিক ইমার্জিন্সি সেবা এবং কার্ডিয়াক, ট্রান্সপ্ল্যান্ট, নিউরো, অর্থোপেডিক ও গাইনি অবস ইত্যাদি বিভাগ থাকবে এই হাসপাতালে। এই ছাড়াও ১৪ টি মডিউলার অপারেশান থিয়েটার, আধুনিক গুণগত মানসম্পন্ন ৬৪ টি ক্রিটিকাল কেয়ার বেড,নবজাতকদের জন্য ৪৪ শয্যাবিশিষ্ট নিওনেটাল ইউনিট এবং ৮ টি পেডিয়াট্রিক আই সি ইউ আছে।

ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, ভারতের বিখ্যাত নারায়ণা হেলথ এবং ইমপেরিয়াল যৌথভাবে কার্ডিয়াক সেন্টার পরিচালনা করা হবে এই হাসপাতাল। ডাত্তার, নার্স ও টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। হাসপাতালে আগত স্বজনদের জন্য হাসপাতালে পরিধির মাঝে থাকার সুব্যবস্থা রয়েছে। তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা এবং হাসপাতালে জৈব বর্জ্য নিস্কাশনের জন্য সরকারি নীতিমালা অনুসরণ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ করা হয়েছে।এই ছাড়াও আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল রোগীদের জন্য ১০% শয্যা সংরক্ষণ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের বোর্ড মেম্বার ও সিইআইটিসি ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম এ মালেক, আমজাদুল ফেরদৌস চৌধুরী, পরিচালক সেলিম আহমেদ, হাসপাতালের এক্সিউটিভ ম্যানেজার রিয়াজ হোসেন, কমিশনিং কনসালটেন্ট এড লি হ্যানসেন, ম্যানেজার (মার্কেটিং এন্ড পাবলিক রিলেশন) শেখ আবদুস সালাম প্রমূখ।