আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। ইসরাইলের সেনাবাহিনীও বিষয়টি স্বীকার করেছে। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে- ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি ৪০০’র বেশি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এই হামলা চালিয়েছে। হামলা চালানোর খবর পেয়ে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন শহরের রাস্তায় নেমে আসেন সাধারণ মানুষ।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে- বৃষ্টির মতো ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানছে ক্ষেপণাস্ত্র। পুরো ইসরাইল ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় এসেছে এবং রাজধানী তেল আবিবসহ বিভিন্ন শহরে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
আইআরজিসি বলেছে, আত্মরক্ষার তাগিদে তারা এই হামলা চালিয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পরপরই আইআরজিসি এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেছে ‘ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু’। হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ এবং আইআরজিসি’র ডেপুটি কমান্ডার আব্বাস নীলফোরুশানের শাহাদাতের বদলা নিতে এই হামলা চালানো হয়েছে। আইআরজিসি বলেছে, “আমরা অধিকৃত ভূখণ্ডের হৃদপিণ্ডে আঘাত করেছি।” আইআরজিসি ঘোষণা করেছে যে, ইসরাইল যদি কোনো রকমের প্রতিক্রিয়া দেখানোর চেষ্টা করে তাহলে আরো মারাত্মক হামলা চালানো হবে।
জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশন বলেছে, এই হামলা বৈধ, যৌক্তিক এবং এর আইনগত ভিত্তি রয়েছে। ইহুদিবাদী ইসরাইলের সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমের জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে ইরানি মিশন।
এদিকে, ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর খবর পেয়ে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন শহরের রাস্তায় নেমে আসেন সাধারণ মানুষ এবং তারা উল্লাস প্রকাশ করতে থাকেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস এরইমধ্যে বৈঠক করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইল অভিমুখী ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করার জন্য মার্কিন সেনাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরাইলের সমস্ত বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া, জর্ডান ও ইরাকের বিমানবন্দরগুলোতেও সাময়িকভাবে বিমানের ওঠা নামা স্থগিত করা হয়েছে।