রোববার সচিবালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথসভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। শিক্ষা সংক্রান্ত নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে সচিবালয়ে এই যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নফাঁস বন্ধে অনেক সাজেশন এসেছে। প্রতিটি কেন্দ্রে পরীক্ষার দিন আধঘণ্টা আগে প্রশ্ন ছাপিয়ে পরীক্ষা নেয়ার কথা হয়েছে। কিন্তু আমরা যখন বুঝলাম আসল প্রশ্নফাঁসকারী তো শিক্ষক তখন আধঘণ্টা আগে দিয়েই লাভ কী।
মন্ত্রী আরো বলেন, কিছু শিক্ষক ক্লাসে না পড়িয়ে বাড়িতে বা কোচিংয়ে পড়ান। যত বড় ভাল শিক্ষক তত ক্লাসে কম পড়ান। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের সঙ্গে তারা একসঙ্গে কাজ করবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোচিং সেন্টারগুলো শিক্ষকদের লোভ দেখায় যে, কোনোভাবে প্রশ্নফাঁস করে তাদের শিক্ষার্থীদের ভালো ফল করাতে পারলে কোচিং ব্যবসা ভালো হবে। টাকা আয়ের পরিমাণটাও বাড়বে। এসব লোভের কারণে শিক্ষকরাই কোচিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে।
তিনি আরো বলেন, আমরা শিক্ষা আইনটি চূড়ান্ত করেছি। আইনটি হলে কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ করতে পারবো। কোনো আইন না থাকায় কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় না। তারা আদালতে গিয়ে ছাড় পেয়ে যায়।
বৈঠকে দুদক কমিশনার ড. নাসির উদ্দিন, মহাপরিচালক (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।