আর্থিক ক্ষতির মুখে তারকা ক্রিকেটাররা

২০১৭ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ৬০ কোটি টাকা দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) স্পন্সর স্বত্ব কিনে নেয় মোবাইল ফোন অপারেটর রবি। চুক্তিটি চলবে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত। চুক্তির শর্ত ছিল, জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা তাদের কোম্পানির বিজ্ঞাপন ছাড়া আর কোনো টেলিকম বা সেলফোন কোম্পানির বিজ্ঞাপনে অংশ নিতে পারবেন না। এতদিন এ নিয়ে সক্রিয় না থাকলেও সম্প্রতি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি। এরইমধ্যে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে অন্য টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে নতুন চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের চুক্তি বাতিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আর যদি তা বাস্তবায়ন হয় তাহলে বিশাল অঙ্কের আয় বঞ্চিত হবে টাইগাররা।

২০১৫ সালে স্পন্সরের বিজ্ঞপ্তি দেবার পর ৪১ কোটি ৪১ লাখ টাকার বিনিময়ে আরেকটি টেলিকম কোম্পানিকে ছাড়িয়ে বিসিবির মিডিয়া স্পন্সর নিয়েছিল রবি। পরে দ্বিতীয় বারেও ৬০ কোটি টাকায় স্পন্সর হাতছাড়া করেনি এই মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিটি। কিন্তু এবার রবির এই শর্তের কারণে ২০১৮ সালের চুক্তি নিয়ে বেশ জটিলতা দেখা দিতে পারে।

এ নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক চুক্তির রীতি অনুযায়ী সাধারণত একই ধরনের একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে পারেনা কোনো ক্রিকেটার। আইসিসির নিয়ম মেনেই এটা বাস্তবায়ন করা হবে। এ নিয়মের কারণে ক্রিকেটাররা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও দু’পক্ষের আলোচনাতেই টিম স্পন্সরের শর্ত মেনে চলতে আগ্রহী বিসিবি। তাই তো বিসিবিও টিম স্পন্সরের শর্ত মেনে বিষয়টি জানিয়েছেন ক্রিকেটারদের।’

বিসিবির চুক্তিবদ্ধ হিসেবে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালের মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা বছরে বেতন পান প্রায় ৪৮ লাখ টাকা। অন্যদিকে অন্য আরেকটি টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে চার বছরের চুক্তিতে সাকিব একাই পান পাঁচ কোটি টাকার মতো। অন্য একটি কোম্পানির থেকে কোটি টাকার মতো পান তামিম-মাশরাফিও। তবে এবার রবির নতুন শর্তে ব্যাপক ভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তারকা ক্রিকেটারদের।