চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে উচ্চ আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন না করায় সিটি মেয়রসহ আটজনের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৩ জুলাই) আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
একইসেঙ্গে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চিফ এক্সিকিউটিভ ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যানকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করায় গত ২৫ জুন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠান। এর সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ দখল সংক্রান্ত ২০১০ সালে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে একটি রিট করা হয়। রিটের চূড়ান্ত শুনানি করে হাইকোর্ট ১১ দফা নির্দেশনা দেন। নির্দেশনায় ৯০ দিনের মধ্যে বিবাদীদেরকে নদীর জায়গা থেকে স্থাপনা উচ্ছেদ করা এবং জলাধার সংরক্ষণ আইনের ৫,৮,৬ (ঙ) ১৫ ধারার বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
এরপর ২০১৬ সালের ১৬ আগস্টের এ রায়ের অনুলিপি বিবাদীদের কাছে পাঠানো হলেও এখন পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সে পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ জুন এই আটজনকে সংগঠনটির পক্ষ থেকে আদালত অবমননার নোটিশ পাঠিয়ে সাত দিনের মধ্যে আদালতের রায় অনুযায়ী কর্ণফুলী নদী তীর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অনুরোধ জানানো হয়।
মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘আমরা নোটিশের কোনো জবাব না পেয়ে গত ২ জুলাই আদালত অবমাননার মামলা করি। আদালত শুনানি নিয়ে উক্ত রুল জারি করেন।’