আগরতলায় নয়া ইতিহাস গড়ল চিটাগাং জার্নালিস্ট স্পোর্টস ক্লাব

আগরতলা উমাকান্তি মিনি স্টেডিয়ামে নয়া ইতিহাস গড়ল চিটাগাং জার্নালিস্ট স্পোর্টস ক্লাব। বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের চিটাগাং জার্নালিস্ট স্পোর্টস ক্লাবের সঙ্গে স্যন্দন পত্রিকার ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই রাজ্যেও প্রথম শ্রেণির বাংলা দৈনিক প্রথম শ্রেণীর বাংলা দৈনিক সংবাদপত্র স্যন্দন পত্রিকার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচকে কেন্দ্র কওে ব্যাপক উৎসাহ ছিলো ৮ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার)।

উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের উদ্বোধন করেন ক্রীড়ামন্ত্রী মনোজকান্তি দেব। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি স্যন্দন পত্রিকার ৫০ বছরের এই অনুষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই ধরনের অনুষ্ঠান দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করে। দুই দেশের মধ্যে খেলাধুলার মাধ্যমে আগামী দিনেও এই ধরনের সম্পর্ক নিয়মিতভাবে গড়ে তোলার উপর তিনি গুরুত্ব দেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি স্যন্দন পত্রিকার সম্পাদক সুবল কুমার দে ৫০ বছরের সূচনালগ্নে খেলার এই আয়োজনে চিটাগাং -এর সাংবাদিকরা সাড়া দেওয়ায় তাদের ধন্য বাদ জানান। তিনি বলেন, আগামী দিনে তারা বেশ কিছু অনুষ্ঠান স্যন্দন পত্রিকা ৫০ বছরকে সামনে রেখে করবে। সেই অনুষ্ঠানগুলিতেও তিনি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক যাতে গড়ে উঠে এবং সেই সম্পর্ক যাতে আরো নিবিড় হয় এর উপর গুরুত্ব দেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে এই রাজ্যেও মানুষের নাড়ীর একটা টান রয়েছে। আমাদের শিকড় রয়েছে বাংলাদেশে। ফলে বাংলাদেশের মানুষ আমাদের কাছে সবসময়ই আপনজন।

অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত ক্রিকেট প্রশাসক প্রফেসর অরুণোদয় সাহা বলেন, স্যন্দন পত্রিকার এই ধরণের আয়োজন অবশ্যই গর্ব করার মতো। বাংলাদেশ আমাদের কাছে কোন আলাদা দেশ নয়। আমাদের ভাষা সংস্কৃতি সবই এক। ফলে দুই দেশের এই ধরণের খেলার ম্যধেিদয় যোগসূত্র বন্ধনকে আরো নিবিড় করে দেয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্কুল অব সায়েন্সের অধ্যক্ষ অভিজিৎ ভট্টাচার্যও স্যন্দন পত্রিকার এই আয়োজনের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই ধরণের একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করাটা গর্বের বিষয়। আগরতলা প্রেসক্লাবের সম্পাদক প্রনব সরকার স্যন্দন পত্রিকার লড়াকু অতীতের কথা উল্লেখ কওে খেলাধুলার মাধ্যমে সম্পর্কেও ভীত গড়ে উঠার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।

বাংলাদেশের পক্ষে এই সফরে কো-অর্ডিনেটর মহম্মদ ফারুক স্যন্দন পত্রিকাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, গত দুইদিন ধওে যে আতিথিয়তা এখানে পাচ্ছেন এতে চিটাগাং দল আপ্লুত। স্যন্দনের আমন্ত্রনে এখানে আসতে পেরে এবং খেলাধুলার মাধ্যমে দণন দেশের সাংবাদিকদেও মধ্যে মেলবন্ধনের মাধ্যমে তনুন দিশা তৈরি হয়েছে।

আগামী দিনেও এই সম্পর্ক উভয় তরফে বজায় রাখা হবে। এই অনুষ্ঠানে ক্রীড়ামন্ত্রী এবং স্যন্দন সম্পাদককে চিটাগাং সাংবাদিকদের ক্লাবের পক্ষ থেকে স্মারক তুলে দেওয়া হয়।

ঊক্তব্যেও আগে অতিথিরা দুই দলের খেলোয়াড়দেও সঙ্গে পরিচিত হন। উদ্বোধনের ঠিক পরেই শুরু হয় খেলা। সবশেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উভয় দলের খেলোয়াড়দের হাতে স্যন্দন পত্রিকার পক্ষ থেকে স্মারক তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া চিটাগাং জার্নালিস্ট স্পোর্টস ক্লাবের কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি শুভেচ্ছা স্মারক। পুরস্কার বিতরণী এই অনুষ্ঠানে স্যন্দন সম্পাদক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ত্রিপুরা ক্রীড়া পর্ষদের সচিব ডাঃ মানিক সাহা, ক্রীড়া সহ-অধিকর্তা বিপ্লব দত্ত এবং স্যন্দনের দুই গুণগ্রাহী ক্রীড়াপ্রেমী ব্যবসায়ী পরিতোষ সাহা ও আশিষ সেন।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে কগিয়ে পর্ষদ সচিব ডাঃ মানিক সাহা স্যন্দন পত্রিকার এই ধরণের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে আগামী দিনে পর্ষদ বিভিন্ন আয়োজনে সহযোগিতা করবে বলেও জানান। ক্রীড়া অধিকর্তা উদয়ন সিনহাও স্যন্দন পত্রিকার ৫০ বছর পূর্তিতে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে এই ধরণের ম্যাচের আয়োজন আগামী দিনেও চালিয়ে যেতে হবে। স্যন্দনের গুণগ্রাহী ক্রীড়াপ্রেমী ব্যবসায়ী পরিতোষ সাহা বলেন, খেলাধুলার দিকেও স্যন্দন পত্রিকা যেভাবে নজর দিয়েছে সেটা প্রশংসনীয়। আগামী দিনেও পেশাগত দায়িত্বের পাশে সামাজিক বিভিন্ন কাজে এই পত্রিকাকে এগিয়ে আসতে হবে।

শেষে স্যন্দন সম্পাদক সুবল কুমার দে বলেন, তিনি চাইছিলেন, চিটাগাং দলটি যেন এই ম্যাচ জিততে পারে। যদিও স্যন্দন জিতেছে। তবে হার জিৎটা মুখ্য নয়। আসলে জয় সবার হয়েছে।