আওয়ামী লীগ দেশের জন্য কিছু করতে গেলেই বাধা আসে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ২০০১ এ ক্ষমতায় এসে দেশের সাক্ষরতার হার কমিয়েছে। কিন্তু ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সাক্ষরতার হার বেড়েছে। বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭২.৩ শতাংশ দাঁড়িয়েছে, যা আরো বাড়বে।
তিনি বলেন, পরিবর্তনশীল বিশ্বে তাল মিলিয়ে চলতে হলে শিক্ষকদের চিন্তায় আরো আধুনিক হতে হবে।
শিক্ষিত জাতি ছাড়া একটা দেশে উন্নয়ন সম্ভব নয়। মেধাশূন্য দেশ এগিয়ে যেতে পারে না।
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে গড়তে জাতির পিতা মাত্র কয়েক বছর সময় পেয়েছিলেন। তিনি তখনই প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছিলেন। তিনি নারী শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তাদের শিক্ষাও অবৈতনিক করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে মাত্র সাড়ে তিন বছরে দেশকে কিভাবে পরিচালিত করতে হবে তার দিক নির্দেশনা তিনি দিয়ে গিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার প্রসারে আমরা বহুমুখী ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে। আমরা ক্ষমতায় এসে দেশের কোন কোন গ্রামে স্কুল প্রয়োজন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ সে বিষয়ে একটি জরিপ করেছিলাম। সেই ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে প্রায় দেড় হাজার স্কুল করেছিলাম। আমরাই এক একটি জেলাকে নিরক্ষরমুক্ত করে সরকারিভাবে ঘোষণা করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেকে বলেন, জিয়াউর রহমান নাকি দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু তিনি শুধু স্বাধীনতা বিরোধীদের সুযোগ করে দিতেই সেই ব্যবস্থা শুরু করেন। এখন বহুদলীয় গণতন্ত্র বলতে যদি তারা স্বাধীনতা বিরোধীদের সুযোগ করে দেয়াকে বোঝান, তাহলে এখানে আমার কিছু বলার নেই।