আঁখির স্কুল সফর

স্কুলের ক্লাস বাদ দিয়ে কী করছে ওরা? সাদা ইউনিফর্ম পরা শিক্ষার্থীদের জটলা ঢাকার রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে। সকাল সকাল কী হচ্ছে ওখানে? একটা বিশাল গাছকে কেন্দ্র করে জটলা। গাছের গুঁড়িটা এমনভাবে বাঁধানো হয়েছে যে মনে হচ্ছে ওটা মঞ্চ। সেখানেই দাঁড়িয়ে আছেন চলচ্চিত্র পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম। আছেন মুনীরা মোরশেদ মুন্নী, আঁখি ও তার বন্ধুরা ছবির মূল চরিত্রে অভিনয়কারী ইশা ও তার বন্ধুরা।
মোরশেদুল ইসলাম মাইক হাতে নিয়ে বললেন, ‘তোমরা কি দীপু নাম্বার টু সিনেমাটি দেখেছ?’
সমস্বরে প্রায় সব শিক্ষার্থীই বলে ওঠে, ‘হ্যাঁ।’
‘আমার বন্ধু রাশেদ দেখেছ?’
‘হ্যাঁ।’ পুনরাবৃত্তি করে ওরা।
‘আমি এ ছবি দুটি নির্মাণ করেছি। এবার আমি তোমাদের কাছে এসেছে আঁখি ও তার বন্ধুরা ছবিটি নিয়ে। তোমরা দেখবে তো ছবিটা?’
এবারও সমস্বরে চিৎকার, ‘হ্যাঁ, দেখব।’
এভাবেই কথা চলতে থাকে। শুকনো কথায় চিড়ে ভিজবে না, এ তো জানা কথাই। তাই চিড়ে ভেজানোর জন্য ছিল লটারি। এ এক অভিনব লটারি। পাঁচটি টিকিটে থাকবে ‘ব্যাটিং’ লেখা। যে পাঁচজন সৌভাগ্যবানের হাতে সেগুলো পৌঁছাবে, তারা কালো চশমা পরে ব্যাটিং করবে। এদের মধ্যে যারা ব্যাটে বল লাগাতে পারবে, তারাই পাবে বিনে পয়সায় আঁখি ও তার বন্ধুরা ছবিটি দেখার টিকিট। হইহই করে উঠল শিক্ষার্থীরা। হুমড়ি খেয়ে পড়ল লটারির টিকিট সংগ্রহের জন্য। তারপর হয়ে গেল মজার ক্রিকেট।
গতকাল বুধবার এ আয়োজনে উপস্থিত বাংলা কমিউনিকেশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদিব রশীদ বললেন, উপস্থিত সবাই হাতে হাতে পাবে বুকমার্ক। সেই বুকমার্কে আছে কিউআর কোড। সেটা থেকে সিনেমার পোস্টার ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে। রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের উপাধ্যক্ষ এম নুরুন্নবীও ছবি দেখার জন্য উদ্বুদ্ধ করলেন ছাত্রদের।
লাভেলো আইসক্রিমের ব্র্যান্ড ম্যানেজার কাজী আলমাস হাসান বললেন, এই প্রচারণায় ‘আঁখি ও তার দলবল’-এর সঙ্গে তাঁরা থাকবেন। প্রত্যেকেই পাবে আইসক্রিম।
উচ্ছ্বসিত মোরশেদুল ইসলাম বললেন, সকাল ৮টায় সেন্ট যোসেফ স্কুলেও গিয়েছিলেন তাঁরা। স্কুল শুরু হওয়ার আগে অ্যাসেম্বলিতে ২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীর সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। ওরাও কথা দিয়েছে, ছবিটি দেখবে।
আঁখি ও তার বন্ধুরা এভাবেই ঢাকার বেশ কিছু স্কুলে যাবে। ছোটদের জন্য তৈরি এই ছবি দেখার জন্য ছোটদের আহ্বান জানাবে। আর হ্যাঁ, প্রতিটি স্কুলেই লাভেলো আইসক্রিমে রসনাবিলাস করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
ছবিটি মুক্তি পাবে ২২ ডিসেম্বর। পরীক্ষার ঝামেলা তখন মাথায় থাকবে না, তাই অনায়াসেই সিনেমা হলে হানা দিতে পারবে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।