সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হতাহতদের দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ইকবাল বাহার বলেন, রিমা কমিউনিটি সেন্টারের গেটটি ছোট হওয়ায় হুড়োহুড়ি করে এক সঙ্গে সবাই ভেতরে ঢুকতে গিয়ে পদদলিত হয়ে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ইকবাল বাহার আরো জানান, রিমা কমিউনিটি সেন্টারের গেটের ভেতর ঢোকার পরপরই ১০ থেকে ১৫ ফুট ঢালু রয়েছে। সড়ক থেকে লোকজন কমিউনিটি সেন্টারে ঢোকার পরপরই পেছন থেকে ধাক্কা খেয়ে কমিউনিটি সেন্টারের ভেতরে ঢুকতে থাকা লোকেরা ঢালুতে পড়ে যান। এ সময় পেছনের মানুষের ধাক্কার চাপ সামলাতে না পেরে পদদলিত হয়ে মারা যান অনেকেই।
কমিউনিটি সেন্টারের ফটকে পুলিশের তৎপরতার অভাব ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, এটা মারামারি বা গ্রুপিং বা অন্য কোনো বিষয় না। নিরাপত্তার অভাব হয়নি, অতিরিক্ত মানুষের কারণে ঘটনাটি ঘটে। অন্য যেসব কমিউনিটি সেন্টারে মেজবানের ব্যবস্থা হয়েছে, সেসব জায়গায় দুর্ঘটনা এড়াতে পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় নিহতের প্রত্যেক পরিবারকে এক লাখ টাকা করে অর্থ সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন।
সোমবার দুপুরে নগরীর জামালখান আসকার দীঘির পাড়ে রিমা কমিউনিটি সেন্টারে মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানির মেজবানে ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হয়ে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা।
রিমা কমিউনিটি সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত নগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী বলেন, ১২টি সেন্টারের মধ্যে জামালখানের রিমা কমিউনিটি সেন্টারে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য খাবারের আলাদা আয়োজন করা হয়। সেখানেই এ ঘটনাটি ঘটে।