মিয়ানমারের সেনাপ্রধানকে বিচারের মুখোমুখি করার আহবান জাতিসংঘের

মিয়ামারে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার চালানো অভিযোগে দেশটির সেনাপ্রধান এবং অপর পাঁচ সেনা কমান্ডারকে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানানো হয়েছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনে।

সোমবার এই আহ্বান জানানো হয় বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়। মিয়ানমারের সহিংসতা উপলক্ষে ২০১৭ সালের মার্চে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল এই ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন গঠন করে।

প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, রাখাইন, কাচিন, শান রাজ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং লাইংসহ এই শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত হওয়া উচিত। বিশেষ করে প্রকৃত নিরাপত্তা হুমকির বিষয়ে সেনাবাহিনীর কৌশল একেবারে সামঞ্জস্যহীন।

আরও বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা পরিস্থিতির গুরুত্ব ও সুযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গণহত্যার সমান। সহিংসতার মাত্রা, নিষ্ঠুরতা ও ধরনে স্পষ্ট যে একটি সভ্য জনগোষ্ঠীকে ভয় দেখাতে এবং শাস্তি দিতেই এমনটা করা হয়েছে, যা সাধারণত যুদ্ধের কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

এদিকে রাখাইন রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে এবং একটি তদন্ত কমিশন গঠন করতে মিয়ানমারকে আহ্বান জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

সোমবার এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়া সরকার জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের স্বাধীন তদন্তে সহায়তা করেছে। দোষীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। সেপ্টেম্বরে হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপিত হলে আমরা প্রতিক্রিয়া জানাবো।

আসুন আমরা রাখাইনে কফি আনানের পরামর্শক কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করে তার প্রতি সম্মান জানাই বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এতে।

উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টে রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তাদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।