জন্মদিনে ড্র উপহার দিলেন মাহমুদুল্লাহ

নিজের জন্মদিনে বাংলাদেশ দলকে ড্র উপহার দিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটি পঞ্চম দিনে গড়ায়। বাংলাদেশ সময় ৩টা ২০ মিনিটের দিকে দুই দলের অধিনায়কের সম্মতিতে ড্র করা সিদ্ধান্ত নেন মাঠের দায়িত্বে থাকা আম্পায়ার রড টাকার ও মিরাইস ইরাসমুস। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০০ ওভারে ৫ উইকেটে টাইগারদের সংগ্রহ ৩০৭ রান।

আজ রোববার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শেষ পর্যন্ত ৬৫ বলে ২৮ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। ১৯৮৬ সালের এই দিনে ময়মসিংহে জন্ম নেয়া এই অলরাউন্ডারের ৩২ বছর পূর্ণ হলো আজ।

২০০৭ সালের কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক হবার পর ঠিক ২ বছর পর টেস্টে অভিষেক ঘটে মাহমুদুল্লাহর। ওয়ানডের চেয়েও টেস্ট অভিষেক আরো জাঁকালো হয় তার। কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওই টেস্টে বল হাতে শিকার করেন ৫ উইকেট। জয়ে ব্যাট হাতেও রাখেন বড় অবদান।

এ পর্যন্ত ৩৭টি টেস্ট খেলেছেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৩০.১৭ গড়ে ২ হাজার ৪২ রান করার পাশাপাশি শিকার করেছেন ৩৯ উইকেট। সেঞ্চুরি রয়েছে একটি ও হাফসেঞ্চুরি ১৪টি। সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ১১৫।

এদিন মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে ৫৩ বলে ৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। একটি চার মারেন তিনি।

আর আগে লঙ্কানদের থেকে ১১৯ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নামে টাইগাররা। মুমিনুল হক ও লিটন দাসের ১৮০ রানের বিশাল জুটি স্বাগতিকদের লিড এনে দেয়। এদিন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এক টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়েন মুমিনুল। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ব্যক্তিগত ১০৫ রানে থামেন পয়েন্ট ডায়নামো খ্যাত এই তারকা।

অন্যদিকে ক্যারিয়ারে তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন। তবে সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে বাজে শট খেলে আউট হন তিনি। ১৮২ বলে ৯৬ রান করে থামে এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান।

আর আগে চতুর্থ দিনে উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস যোগ করেন ৫২ রান। তামিম ৪১ ও ইমরুল বিদায় নেন ১৯ রানে। দিনের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যক্তিগত ২ রানে আউট হন মুশফিকুর রহিম।

শ্রীলঙ্কার হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রঙ্গনা হেরাথ। একটি করে উইকেট নিয়েছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, দিলরুয়ান পেরারা ও লাকসান সান্দাকান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশে: ৫১৩ ও ৩০৭/৫ (১০০ ওভার)
শ্রীলঙ্কা: ৭১৩/৯
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মুমিনুল হক (১৭৬ ও ১০৫)